সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৩

রক্তাক্ত অনুভূতি

রক্তাক্ত অনুভূতি

ফোটায় ফোটায় রক্তক্ষরন
বিক্ষত অস্তিত্বের নিঃসরন
হৃদয় জংশনে দুঃখসাদৃশ
সুখের শিহরন।

মন খুজে দুখঃগাথা
সত্বাপাপে অহর্নিশ বিচরন
বাতাসে উড়িয়ে সুখস্মৃতি
আপন পাপে দুঃখ নিবারন।

পাপমালার হিমালয়ে আরোহনে
পরম পানে নিরব অশ্রু বিসর্জন
সময়ের গালমন্দতায়
নিরব দির্ঘশ্বাস বিতরন।

মহাকর্ষ টানে হারানো নিজেকে খুজে ফেরা
নিজেকে ধরে নিজেকে ছড়ানয়
দিবানিশি অস্থিরতার আলোড়নে......!
একের দয়ায় সর্বোচ্চ সত্বা নিবেদন।

ভাললাগা নেই কোথাও
বিশ্বাস ভাঙনের বেড়াজালে
সীমাহীন অপেক্ষা মায়ার জাল ভেঙ্গে
পরম প্রেমিকের সত্য আহবানে।।

শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৩

সপ্নকর্ম

একটা জীবন জানা সপ্ন
বাচাঁর তাগিদ আনে শত অপ্রাপ্তিতেও
বিষাদ মরুভুমিতে জীবন্ময় ঝর্নায়।

কাটাছেড়া জীবনের বন্দীত্ব থেকে মুক্তি
যেন একঝাক বৃষ্টির ঝলক বালুময় মরুতে
ফালতু ভেবে মাঝে যেখানে ছিল বিষবৃক্ষ ।

একটি বন্দিময় সময়ক্ষেপন
অথবা অকৃতকার্য সমীকরন মেলানয়.........
তবুও বাঁচায় কিছু সপ্ন
সুখময় সমাপ্তির টানে...।

যদি হয় না পাওয়াতেই আপন অস্তিত্ব হরন
তবে বলি ......
সত্য বুঝতে বাকি,অজানা জীবনদর্শন!

যদি সপ্ন বেকে ফেলে আসা স্মৃতি
 না হয় পূরন
তবে বার বার চাওয়া কষ্ট টানি
দুঃখকে সুখে মোড়াতে।

অনিয়মের শৃঙ্খলে আবদ্ধ আত্মায়
ক্ষুদ্র সত্য উপলদ্ধি থাকে
তবু ভয়ে তটস্থ মন হয়না মুক্ত.........!!!


বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৩

প্রেমময়তা

প্রেমময়তা

যখন থাকি ভবঘুরে
সত্য না পাই চিবুক ধারে
যখন ছাড়ি চাওয়ার হাড়ি
ছড়ায় সাই ভরি ভহরি......

একি তোমার খেলা গো সাই
সত্যের শেকল ধরতে না পাই
তোমার জাতে তুমিই অসীম
আমি পাপী অধীর জমিন।

সত্য সাধন কামনা যে মোর
মিশ্রনতায় আরাধনার ঘোর
আদব জ্ঞানে পাহাড়সম
হারিয়ে বহে অশ্রু মম......

আমি চেনায় আমাতেই ঘোর
সন্দেহ তাই ছুয়ে অধর
দেখি তব করুনার ধার
সান্নিধ্যের আশা প্রেমময়তার।

রবিবার, ২৩ জুন, ২০১৩

অনেক দিন বাচিব না আমি সুন্দর ভুবনে,
তবু আশায় বেচে আছি দিন ক্ষন না গুনে
চারুলতা কারুকায় অন্তর সমীপে
বারিধারা ঝরে তবু আপন ধ্বণিতে
 

স্বপ্ন

      স্বপ্ন

স্বপ্ন আমার সাদা আলো
জাতে মিশ্রতার
সরল মনের কল্পগাথায়
ভিজে একাকার।

সপ্ন আমার ছোট জায়গায়
অল্প পরিসর
ক্ষনিক ভেবে থমকে দাড়াই
এতো অহংকার।

স্বপ্ন আমার ছেড়াফাটা
সত্য নিবেদনে
খানিক যেয়ে সন্দেহতায়
আপন ধ্বংস বুনে।

স্বপ্ন আমার সাদা ফ্রেমে
রঙিন জাল বুনে
আশা অম্লান বুক উচিয়ে
পরম নিবেদনে।
২৩/০৬/২০১৩

শনিবার, ২২ জুন, ২০১৩

নিবেদন

নিবেদন

আমাকে দেখি আমি স্থির চিত্তে
খুব মায়া হয়
পরক্ষনে আবার ঘৃনায় বিষিয়ে যাই
এ প্রবৃত্তির কোন রুপ।

আমাকে দেখি অপলক দৃষ্টিতে
মুগ্ধ হই এর সততা সৌন্দর্যে
একটি ধংসাত্মক অন্তরলোকও বটে
আবার কাল ধোয়া ধ্ংসের এখানেই।

আমাকে দেখি আমি নিজের থেকে আলাদা করে
দ্বিত সত্বা দ্বন্দে নিবদ্ধ
দুই অনুভুতি সমান্তরাল বহমানন
আত্মা ও প্রবৃত্তি;এ কোন আশ্চার্য অন্তঘর!

আমাকে জানি,হা জানি বলে তাই
কাউকে দোষ দেওয়া হয়ে ওঠে না
একটি ভালবাসার দৃষ্টি পড়েও রয়
এ তো তুমি,তুইই! জানি না কবে.........!

শনিবার, ২৫ মে, ২০১৩

মিশ্রিত অস্তিত্ব

মিশ্রিত অস্তিত্ব

আমি নিস্তব্ধ অবারিত প্রকৃতির সাথে
আমি সপ্নচারি সঙ্কটময় অস্তিত্বের মাঝে
আমি বিদ্যুৎ, ঝলসে দেই মায়ার শেকল
আবার মৃত্তিকা,সমূলে সবার প্রেমের বাধন।

আমি শুনেছি ঝড়ের গর্জন
আমি দেখেছি মেঘের ক্রন্দন
আমি দেখেছি ধোয়ায় দুঃসপ্নের আনাগোনা
আবার হয়েছি জ়ল, নিরবে গড়িয়ে যাওয়া।

আমি চন্দ্র, মিষ্টি করে হাসতে জানি
আমি বাতাস, শীতল করতে জানি
আমি সূর্য, সব আলোকিত করি
আবার ঝঞ্জা, সব ভাঙতে পারি।

আমি দুমূখো মিশ্রিত ভাব বজায় রাখি
আমি অস্তিত্ববাদী মিশ্রন প্রেমের বারি টানি!!!
 

স্বত্তাবিরোধী স্বাধীনতা

স্বত্তাবিরোধী স্বাধীনতা

আরও কত স্বাধীনতা তুমি চাও
আরও কত বেশি মুক্ত হলে তুমি সুস্থ হবে?
তোমার গলায় নেই শেকল বাধনে
তবুও ভিতরের পৃথিবী তোমার স্লোগান তুলছে মুক্তি চাই মুক্তি দাও।

তুমি তো স্ব স্বত্তাতেই মুক্ত...
খোলা পৃথিবী তোমার পারিবার
টাকা হীন চামড়ার থলে,পার্সহীন পকেটময় রাস্তায় ঘোরাঘুরি
উশখ চুলে ময়লা ফেলা কনক্রিটের দেয়ালের পাশে রুগ্ন খাবারের রুক্ষ ডাইনিং!

না এই স্বাধীনতা নয়,তোমার চাই মুক্ত চিন্তার স্বাধীনতা
স্ব-ইচ্ছাতে আপন অস্তিত্বে দোলার স্বাধীনতা
সর্বোচ্চ শারিরীক কসরতে নখ আচরে দেওয়ার স্বাধীনতা
রক্ত ছোটা ঘাম, বিপরীতের পেছনের চুল আকড়ে যেখানে উত্তেজনার নিষ্পত্তি।

প্রবৃত্তির স্বাধীনতায় খুশি তুমি?
কতদিন পারবে স্বাধীন চিত্তে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা আকড়ে রাখতে?
একদিন চামড়া ঢিলে হবে, উত্তেজনার আবেশ ফুরাবে
যাওয়ার ডাকে সারি বাধবে তুমিও,নাও স্বাধীনতা!

মুক্ত চিন্তার বাধা নাই, ছিল না......
ভাব একবার,মজাতে আটকে থেক না
রগ ঢিলে হাওয়ার সময়টাতে আস
তারুন্নেরস ছলাকলায় কে ভাবতে চায় এসব!!!

অজ্ঞানের ছরাছরি জগত্ময়, জ্ঞান ছিতকে পরছে সাজরে...
আছে শুধু বক্তার সমাহার, তুচ্ছ অনুভুতির বহিঃপ্রকাশ।
ভুল করেও ভাবি না নাম উঠল কিনা কর্তার খাতায়
শুধু চাই স্বাধীনতা, মুক্ত নোংরামির স্বাধীনতা।।

মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০১৩

ক্ষমা

কারও প্রতি প্রতিহিংসা,ক্ষোভ খুব বেশী জমলে তাকে ক্ষমা করে দাও।নিজে চাপমুক্ত থাকার এটাই একমাত্র পথ।সৃষ্টিকে মুক্তি না দিলে নিজে কখনও শান্ত ও মুক্ত থাকা যায় না।তুমি একজন এর প্রতি যে অনূভূতি ধারন করবে সে তোমাকে তোমার অনূভূতির অনূকূলেই প্রতিদান দিবে।এই মায়াময় জগৎ পূরোটাই আমাদের বিশ্বাস এবং অনূভূতিতে চালিত।

শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

অজান কথা

অজান কথা

আসেনা কিছু চিন্তার পিছু অজান নিরাবতা
চাইলেই পারিনা জানাতে আগের মত করে আত্মার গোপন কথা
হয়েছি ফাঁক দিয়েছি ডাক বিয়োগের পথ ধরে
ভেবেছি খালি হবে কততুকুই বা নিয়েছি যা ভরে।

সরলতা নিয়ে সরল পথ ধরে শিখেছি যা কিছু
ধোকায় পড়ে নোংরা সাধন নিয়েছিল এর পিছু
সত্য মিথ্যার মিশেলে অস্থির মস্তিষ্ক পেয়েছিল কিছু নারী
নিজের মত করে সত্যের পথ ধরে পারেনি হতে সারি।

জগত চলে জগতের নিয়মে আমরা পাপাচারী
স্রোতের তালে গা ভাসিয়ে  হচ্ছি মিথ্যার বলি
 ভালবাসা বোঝিনি দেখিনি সত্য আত্মার পথ ধরে
আবেগ কামনা ধোকা দিয়েছে ভালবাসা নামান্তরে।

নোংরা এরা,ধংস এরা নাক উচু করে চলে
বলে চল একসাথে মিলে যাই প্রেমের ঢালে
আমি বলি প্রেম এটা নয় পবিত্র সে অনূভূতি
যা আসে পরম থেকে তাকে ভালবেসেই এর প্রথম পদাবলি।

তরুনী এরা আবেগের বশে নিজেকে ভাবে জ্ঞানী
অদৃশ্য না বলে পেয়েছি তরে,দেখব তর জ্ঞানের তরী
বোঝাতে গেলাম বুযল না কিছু বিকৃত মস্তিষ্ক ব্যবহারে
আদব হারিয়ে নষ্ট হল, আমি হলাম আহাজারি!

শেষ কথা, নয় বিয়োগ ব্যথা, জ্বালা সত্য না পারা ধরতে
যার কর্মফল সেই কুড়ায় আপন ধরা তালে
ভূল আমার পাপী সে আমার কি দায়!
একদিন মিলবে ঠিক কিন্তু থাকবে না সময়!!।










দুই সত্তা

দুই সত্তা

এই অশ্রুজলের হয়না কোন সংজ্ঞা
নিজেই জানি না কেন এই অনবরত ঝরে যাওয়া!
চোখের জল অন্তরের ঘনত্ব কমায়
কিন্তু অদৃশ্য রক্তক্ষরন হ্রদয়ের,সময় পাল্টে জমাট বাধায়।

পবিত্রতা অদৃশ্য, এর বিভাজন নাই
আমরা বিভাজিত পবিত্রতা আর প্রবৃত্তির বরষায়
পবিত্র আমি তখন যখন অন্তঃদৃষ্টি উর্ধমূখিতায়
আবার "আমি" ধ্যান-ধারনা আকড়ে পবিত্রতার বিপরীতে প্রবৃত্তির মোহতায়।

সংকল্পহীন নিরন্তর যুদ্ধ আমি ও আমার দ্বিতীয় সত্তায়
মায়া স্মৃতি সত্য ভালবাসা ছুড়ে ফেলে দেয়
এক একটি দির্ঘনিঃশ্বাস এক একটি মায়া বিষ্ফোরন
সত্য সাধনায় এ যেন অভদ্রতার নিরবিচ্ছন্ন আবর্তন।



রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

অনূভূতির পবিত্রতা সত্যের বাস্তবতা

জগতে আামরা আপন ইচ্ছায় চালিত হওয়ার জন্য আসেনি।প্রতিটা মূহূর্তের চিন্তা ও কর্মের হিসাব আমাদের কড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দিতে হবে।স্বধীনতার ক্ষমতা আমাকে দেওয়া হয়েছে বলে ব্যাপার টা এইরকম না রাস্তায় অর্ধনগ্ন হয়ে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেমে পড়তে হবে।অনূভূতির নগ্নতা কূরিপুর নিউক্লিয়াস।অন্তরের পবিত্রতাই আমাকে সত্য ও সৎ স্বাধীনতা দিতে পারে।আসলে আমরা স্বাধীনতা ব্যপারটাই বুঝি না তাই বিকৃত অনূভূতি আমাদের বিকৃত পথে ধাবিত করে।আমি আমার অনূভূতিকে সূক্ষ বিশ্লেষন করলেই বুঝতে পারব আমি কতটা ন্যাংটা নোংরা।মানুষ ইহকাল ও পরকালে ফলাফল হিসেবে অনূভূতির প্রতিফলন ই পায়।ভেবে নেই আমি কি এবং কি পেতে যাচ্ছি,কি আমি ধারন করি আর কি আমার অতীতের কর্ম।আমার ভোগান্তি আমার কর্ম আর অনূভূতিরই ফসল।

মঙ্গলবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

বিচার অনূভূতির

কি ভাবছ?ভাইব না।চিন্তার গলায় লাগাম পরাতে পরাবে?এখনই কি ভাবছ খেয়াল করেছ?আরে ভাই গরু ছাগলের বিচার হবে না কারন এই চিন্তাটুকু ওরা করতে পারে না।মূলত তোমার আমার অনূভূতির ই বিচার হবে শেষ বিচারের দিনে।মজার চিন্তায় গা ভাসাইতেছ?জেনে রেখ তিনি অন্তরের খবর রাখেন এবং প্রতি ন্যানো সেকেন্ড এর নোংরা চিন্তার হিসাব বোঝায়ে দিতে হবে।আমাদের পৃথিবীতে আগমন আর করনীয় সম্বন্ধে সম্যক ধারনা রাখা উচিত।

মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৩

ইচছা

ইচছা

আমি জীবনের কল্লোল শুনতে চাই
চাই অহামরি উত্তপ্ত সত্যের গান গাইতে
যে গানে নেই কোন বাক
এবং অজস্র ভূলের চক্রান্ত।

আমি স্বচ্ছ ঢেউহীন নদী চাই
আত্মা ভূষিত শান্ত এক জলরাশি
আমার অস্তিত্ব যেখানে শান্ত আর সোজা
নিরবিচ্ছিন্ন উর্ধমূখিতায়............।

আমি সপ্ন দেখতে চাই বালুঝড় নিস্তব্ধ এক
বালুময় পথের
সুশৃঙ্খল জীবন দর্শনে পরিপূর্ন বৃষ্টির
কোটি করুনা কনায় যেখানে সত্তা নিবেদিত।

ভোরের পাখি হয়ে বাসিমুখে গাইতে গান
আমার জন্য, সবার জন্য......
আপন আশা অথবা নিরাশার পাচিল ভেঙে
সৃষ্টিতত্ব আর সত্তা সত্যতায় ডুবে যেতে।

আমি চাই না হাজারো আনন্দ সংবাদ
প্রতিনিয়ত আমাকে উদ্বেলিত করবে
আনন্দই যেন আমার শরীর
সঘ্রান বইব প্রতি কোষকনায়।।